করোনা ভাইরাস আতঙ্কে রাজশাহী নগরী ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীসহ
গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত এসব ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে রাজশাহী নগরী ছাড়তে শুরু করেছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষও। যারা গ্রাম ছেড়ে এসে রাজশাহী শহরের এসে বসবাস করছিলেন তাদের অনেকেই করোনা আতঙ্কে শহর ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে রাজশাহীর বাজারে সব ধরনের ব্যবসায় কমে এসেছে গত দুই-তিন দিনে। তবে সাধারণ মানুষের চলাচলে তেমন কোনো আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়নি। সাধারণ মানুষ অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন এ শহরে।
এদিকে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ও রুয়েটও করোনা আতঙ্কে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে হল ছেড়ে গতকাল সকালেই রাজশাহী ত্যাগ করেছেন দুটি শীর্ষ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীরা। আবার গ্রাম থেকে যেসব পরিবার রাজশাহীতে এসে বসবাস করছিলেন সন্তানের লেখাপড়ার জন্য, তারাও বিদ্যালয়, কলেজ ছুটি থাকায় রাজশাহী ছাড়তে শুরু করেছেন। করোনা আতঙ্কে রাজশাহী ছাড়ছেন এসব পরিবার। ফলে রাজশাহীর ব্যবসায় অনেকটা ভাটা পড়তে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও রাজশাহীতে কিছু কিছু কোচিং সেন্টার এবং কোনো শিক্ষক এখনো শিক্ষার্থীদের দল বেধে পড়া-শোনা করাচ্ছেন। রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ ও মালোপাড়া এবং হেতেমখাঁ এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি কোচিং সেন্টারে বাইরে বন্ধ ঘোষণা দিয়ে ভিতরে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আবার শহরের উপশহরের একটি বাড়িতে এবং কাদিরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষকরা বাড়িতে এখনো টিউশনি অব্যাহত রেখেছেন।
শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
0 Comments